সার্কিট বা বর্তনী (Circuit)
অথবা
কারেন্ট
চলাচলের সম্পূর্ণ পথকে সার্কিট বলে।
সার্কিট তিন প্রকারঃ
১. সিরিজ সার্কিট
২. প্যারালেল সার্কিট
৩. মিশ্র সার্কিট
একটি আদর্শ সার্কিটের প্রয়োজনীয় উপাদান পাঁচটিঃ
১. বিদ্যুতের উৎস (Source)২. পরিবাহী (Conductor)
৩. নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling Device)]
৪. ব্যাবহার যন্ত্র (Consuming Device)
৫. রক্ষ যন্ত্র (Protective Device)
সিরিজ সার্কিট (Series Circuit)
একাধিক লোড একের পর এক সংযোগ করে বৈদ্যুতিক উৎসের সাথে সংযুক্ত করলে, কারেন্ট প্রবাহের একটি মাত্র পথ থাকে, একে সিরিজ সার্কিট বলে।
চিত্রঃ সিরিজ সার্কিট
২. সবগুলো লোডের ভোল্টেজ ড্রপের যোগফল, সোর্স ভোল্টেজের সমান।
৩. লোড সমূহের রেজিস্ট্যান্সের যোগফল, মোট রেজিস্ট্যান্সের সমান।
যদি একটি সিরিজ সার্কিটে 4 টি লোড থাকে, লোড গুলোর রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে R1, R2, R3 ও R4, কারেন্ট I1, I2, I3 ও I4 এবং ভোল্টেজ V1, V2, V3 ও V4 হয়,
তবে,
মোট রেজিস্ট্যান্স R = R1 + R2 + R3 + R4
মোট ভোল্টেজ V = V1 + V2 + V3 + V4
এবং মোট কারেন্ট I = I1 = I2 = I3 = I4
চিত্রঃ সিরিজ সার্কিট
সিরিজ সার্কিটের বৈশিষ্ট্যঃ
১. প্রতিটি লোডের মধ্য দিয়ে একই কারেন্ট প্রবাহিত হয়।২. সবগুলো লোডের ভোল্টেজ ড্রপের যোগফল, সোর্স ভোল্টেজের সমান।
৩. লোড সমূহের রেজিস্ট্যান্সের যোগফল, মোট রেজিস্ট্যান্সের সমান।
যদি একটি সিরিজ সার্কিটে 4 টি লোড থাকে, লোড গুলোর রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে R1, R2, R3 ও R4, কারেন্ট I1, I2, I3 ও I4 এবং ভোল্টেজ V1, V2, V3 ও V4 হয়,
তবে,
মোট রেজিস্ট্যান্স R = R1 + R2 + R3 + R4
মোট ভোল্টেজ V = V1 + V2 + V3 + V4
এবং মোট কারেন্ট I = I1 = I2 = I3 = I4
প্যারালেল সার্কিট (Parallel Circuit)
একাধিক লোডের প্রতিটির এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অন্য প্রান্তগুলো অন্য আরেকটি সাধারণ বিন্দুতে সংযোগ করা হয় যা কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ তৈরী হয়, তাকে প্যারালেল সার্কিট বলে।
অথবা
একাধিক লোড বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমন ভাবে সংযোগ করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে, একে প্যারালেল সার্কিট বলে।
চিত্রঃ প্যারালেল সার্কিট
প্যারালেল সার্কিটের বৈশিষ্ট্য:
১. প্রতিটি লোডে ভোল্টেজ সমান থাকে।
২. প্রতিটি লোডে কারেন্ট ভিন্ন হয়।
৩. প্রতিটি লোডের কারেন্টের যোগফল, সার্কিটের মোট কারেন্টের সমান।
যদি একটি প্যারালেল সার্কিটে 4 টি লোড থাকে, লোড গুলোর রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে R1, R2, R3 ও R4, কারেন্ট I1, I2, I3 ও I4 এবং ভোল্টেজ V1, V2, V3 ও V4 হয়,
তবে, মোট রেজিস্ট্যান্স 1/R = 1/R1 + 1/R2 + 1/R3 + 1/R4
মোট ভোল্টেজ V = V1 = V2 = V3 = V4
এবং মোট কারেন্ট I = I1 + I2 + I3 + I4
প্যারালেল সার্কিটের সুবিধা:
১. প্রতিটি লোডকে আলাদা-আলাদা সুইচ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২. একটি লোড নষ্ট হলেও অন্য লোডের উপর প্রভাব পরে না।
৩. প্রতিটি লোড সমান ভোল্টজ পায়।
বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে লোড সমূহ প্যারালেলে চালানো হয়।
নিচে প্যারালেল সার্কিটের একাধিক পথের রেজিস্ট্যান্সের মান বসিয়ে সমতুল্য মান দেখুন।
অথবা
একাধিক লোড বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমন ভাবে সংযোগ করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে, একে প্যারালেল সার্কিট বলে।
চিত্রঃ প্যারালেল সার্কিট
প্যারালেল সার্কিটের বৈশিষ্ট্য:
১. প্রতিটি লোডে ভোল্টেজ সমান থাকে।
২. প্রতিটি লোডে কারেন্ট ভিন্ন হয়।
৩. প্রতিটি লোডের কারেন্টের যোগফল, সার্কিটের মোট কারেন্টের সমান।
যদি একটি প্যারালেল সার্কিটে 4 টি লোড থাকে, লোড গুলোর রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে R1, R2, R3 ও R4, কারেন্ট I1, I2, I3 ও I4 এবং ভোল্টেজ V1, V2, V3 ও V4 হয়,
তবে, মোট রেজিস্ট্যান্স 1/R = 1/R1 + 1/R2 + 1/R3 + 1/R4
মোট ভোল্টেজ V = V1 = V2 = V3 = V4
এবং মোট কারেন্ট I = I1 + I2 + I3 + I4
প্যারালেল সার্কিটের সুবিধা:
১. প্রতিটি লোডকে আলাদা-আলাদা সুইচ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২. একটি লোড নষ্ট হলেও অন্য লোডের উপর প্রভাব পরে না।
৩. প্রতিটি লোড সমান ভোল্টজ পায়।
বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে লোড সমূহ প্যারালেলে চালানো হয়।
নিচে প্যারালেল সার্কিটের একাধিক পথের রেজিস্ট্যান্সের মান বসিয়ে সমতুল্য মান দেখুন।
No comments:
Post a Comment